প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কে খুনের চেষ্টা চলছে। দিন কয়েক আগেই এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন, 'দাদার অনুগামী'। যদিও এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজে বা পরিবারের কেউ প্রকাশ্যে বা পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। এমনই দাবির মাঝে তৃণমূলের বিধায়ক বুধবার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই রাজ্যপাল ধনখড় কে চিঠি দিলেন তিনি।
কি লেখা আছে সেই চিঠিতে ? শুভেন্দু থেকে সেই চিঠি পেয়ে তার টুইটারে তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল। শুভেন্দু সেই চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন,রাজ্য পুলিশ তাকে ও তার অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। পদত্যাগের পর পরই শুভেন্দু এহেন অভিযোগে সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। চিড়া চোপাল প্রতিমুহূর্তে রাজ্যে সরকারের আক্রমণ করে চলেছে। তার কাছেই অভিযোগ জানাল শুভেন্দু? শোরগোল বাড়ছে ক্রমশই। রাজ্যপাল নিজে সেই চিঠি পোস্ট করে বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ও তার অনুগামীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই মর্মে তার কাছে অভিযোগ করে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী'।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গন ভায়ে জিতেন্দ্র কে ফোন মমতার! কি কথা হলো?
যদিও দিন কয়েক আগে কাঁথিতে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক, কাঁথি তিন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত কনিষ্ক পান্ডা বলেছিলেন, 'শুভেন্দু কে চক্রবর্তীর মধ্যে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু শুভেন্দু সেই জাল ফেটে বেরিয়ে আসায় তাকে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি'। তিনি বলেন, 'হলদিয়াতে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে এক মঞ্চে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ, অপরদিকে সুশান্ত ঘোষের জামিন, পাশাপাশি কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন,শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তাই আমরা উপযুক্ত নিরাপত্তা দাবি জানাই।সেই দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' তারপর কনিষ্ককে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর তারপরই শোনা যায় শুভেন্দু রাজ্যে নিরাপত্তা ছাড়লেই তাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সেই প্রস্তুতি কার্যত পাকা। আর হয়তো রাজ্যপালের কাছে এই চিঠির মাধ্যমে তার নিরাপত্তা পাকাপাকি বন্দোবস্ত করতে চাই শুভেন্দু।Suvendu Adhikari former minister @MamataOfficial has by way of representation sought my intervention so that police @WBPolice @KolkataPolice and administration are dissuaded from implicating him and associates in criminal cases out of political vendetta.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2020
Taking expected steps. pic.twitter.com/NXwH914Eog
আপনার মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন